তুষারধারা ডেস্ক:
বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২৮ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার ইস্কাটনের নিজ বাসায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী রাহাত খান-এর মৃত্যুতে শোকে প্রকাশ করে একাডেমি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাহাত খানের গল্প ও উপন্যাস আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যে নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে৷ বিষয়, বিন্যাস ও ভাষা-ব্যবহারে তাঁর অভিনবত্বের পাশাপাশি মাটি, মানুষ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার তাঁর সাহিত্যকর্মকে অনন্যতা দিয়েছে। বাংলা শিশুসাহিত্যেও তিনি এক স্মরণীয় নাম। সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবেও তাঁর অবদান অসাধারণ।
বাংলা একাডেমির সঙ্গে ছিল রাহাত খানের নিবিড় সম্পর্ক। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি আয়োজিত প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনের তিনি ছিলেন সদস্য-সচিব।
খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক রাহাত খান দৈনিক ইত্তেফাকে ষাটের দশক থেকে কর্মরত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালে ভূষিত হন একুশে পদকে।
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘মধ্য মাঠের খেলোয়াড়’, ‘এক প্রিয়দর্শিনী’, ‘অনিশ্চিত লোকালয়’, ‘শহর’, ‘হে শূন্যতা’, ‘হে অনন্তের পাখি’, ‘মন্ত্রিসভার পতন’, ‘দুই নারী’, ‘কোলাহল’, ‘অমল ধবল চাকরি’, ‘ছায়া দম্পতি’ প্রভৃতি।
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান-এর চিরবিদায়
সর্বশেষ সম্পাদনা: আগস্ট ৩১, ২০২০ at ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ