সোহাগ পারভেজ
সৃষ্টিতে আনন্দ পাই। রেখা দিয়ে, রং দিয়ে, ছন্দ দিয়ে সৃষ্টি করি এক একটি ছবি। কখনও বাস্তব, আবার কখনও আধাবাস্তব। এসব বাস্তব আর আধাবাস্তব থেকে বের করে আনি নিজস্ব কিছু রং, কিছু কর্ম, কিছু ছবি। এসব ছবি দিয়েই তৈরি হয় প্রতিটি বই যা শিশু-কিশোরদের কাছে অনেক প্রিয় হয়ে ওঠে।
আমি শিশু-কিশোরদের বইয়ে ছবি এঁকে আনন্দ পাই। পেন, পেনসিল, জলরং, পেস্টাল রং আবার কখনও তৈল রং সব রংই ব্যবহার করি। গাঢ় রং ব্যবহার করি শিশুতোষ বইগুলোতে। রঙের বিন্যাস খুবই প্রয়োজন। লাল, কমলা, নীল, বেগুনী ও হলুদ রংকে প্রাধান্য দেই। মিশ্রিত রংয়ের পাশাপাশি সরাসরি রংও ব্যবহার করি।
মনে আনন্দ রেখে শিশু-কিশোর ছড়া-কবিতা গল্পের জগতে ঢুকে পড়ি। প্রথমে প্রত্যেক গল্প-কবিতার বিষয়কে আত্মস্থ করি। তারপর ড্রয়িং। ড্রয়িং শেষ করে রং; এরই মধ্যে ছোটছোট কম্পোজিশন। বিষয়ের সাথে মিল রেখে রিয়েলিস্টিক ধারাকে রেখে আঁকি। কারণ শিশুরা তো বিমূর্ত বোঝে না। তাই বাস্তব বিষয়টাকে মাথায় রেখে নিজের মতো করে একটা ফর্ম দাঁড় করানোর চেষ্টা করি।
আমার ভুবন দুটি। একটি পেইন্টিং আর অন্যটি প্রচ্ছদ ও অলংকরণ।
সাত বছর আগে একেবারেই শখ করেই এই ইলাস্ট্রেশন অর্থাৎ প্রচ্ছদ ও অলংকরণের জগতে ঢুকে পড়েছিলাম। শুরুটা ছিল শিশু একাডেমির নিয়মিত পত্রিকা ‘মাসিক শিশু’ থেকে। আর ছবি আঁকাটা ছিল খুব ছোট্টবেলা থেকে; যখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি।
যা-ই হোক ছবি আঁকছি, মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। প্রদর্শনী করছি দেশে ও বিদেশে। আর বইয়ের পাতায় পাতায় তুলে ধরছি বাংলাদেশের ছবি।
সোহাগ পারভেজ
চিত্রশিল্পী