আমিনুল ইসলাম মামুন
সাহিত্যের পরীক্ষণ মাধ্যম হিসেবে লিটল ম্যাগাজিনের যেমনি পরিচিতি রয়েছে; তেমনি নতুন লেখক সৃষ্টিতেও এর রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। কিন্তু এই লিটল ম্যাগাজিন ও এর সাথে জড়িতরা কি যথাযথভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে?
বাংলা একাডেমি সাহিত্যকর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের অভিভাবকতুল্য একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর এই একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ বাংলা একাডেমি সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য, শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখলেও লিটলম্যাগের ক্ষেত্রে থাকছে না বিগত বছরে (১ মার্চ থেকে মেলাকালীন বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত) সর্বাধিক পরিমাণ সংখ্যা প্রকাশের জন্য, শৈল্পিক ও সাহিত্যমান বিচারে সেরা ম্যাগাজিনসহ প্রভৃতি বিষয়ে পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা। সাহিত্যের জন্য যারা নিঃস্বার্থ ও নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে; স্বয়ং বাংলা একাডেমি কর্তৃক এ অঙ্গনকে উৎসাহব্যাঞ্জক কর্মকান্ডে জড়িত না করাটা লিটলম্যাগ কর্মীদেরকে ভাবিয়ে তোলাটা অস্বাভাবিক নয়। এ বিষয়টি বাংলা সাহিত্যের স্বার্থেই বাংলা একাডেমিকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
পাশাপাশি লিটল ম্যাগাজিনের স্বকীয়তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাহিত্য প্রেমিদের মাঝে বিস্তৃতভাবে তুলে ধরার জন্য একটি লিটলম্যাগ একাডেমি গঠন, আমাদের ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে একটি দিবসকে ‘লিটলম্যাগ ডে’ হিসেবে পালন (হতে পারে পহেলা বৈশাখ) এবং প্রতিবছর একটি লিটলম্যাগ মেলার আয়োজন করা দরকার। এজন্য সারাদেশের লিটলম্যাগ কর্মীদেরকে আন্তরিকভাকে এগিয়ে আসতে হবে।
(লেখাটি ত্রৈমাসিক তুষারধারা’র মার্চ-মে সংখ্যার সম্পাদকীয়)